বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
নিউইয়র্ক সিটিতে স্বতন্ত্র চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান ইনডিপেনডেন্ট ফিজিসিয়ান এসোসিয়েশন বা সাউথ এশিয়ান আইপিএ। নিউইয়র্কে সাশ্রয়ী এবং উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সাউথ এশিয়ান আইপিএ, এলএলসি।
চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় সংকোচন, চিকিৎসক, হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানী, বিভিন্ন শ্রেনীর কর্মচারী সহ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার মনোন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে গড়ে উঠে সংগঠনটি। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছরের পথ চলায় সাউথ এশিয়ান আইপিএ চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে চমৎকার একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সাউথ এশিয়ান আইপিএ’র মাধ্যমে চিকিৎসকদের ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি রোগীদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা।
নিউইয়র্ক সিটি ও আপস্টেট বাফেলো শহরে ক্রমবর্ধমান দক্ষিণ এশিয় কমিউনিটিতে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সাউথ এশিয়ান আইপিএ। সংগঠনটির মূল নেতৃত্বে রয়েছে বাংলাদেশী আমেরিকান একদল প্রাইমারি কেয়ার ফিজিশিয়ান। সাউথ এশিয়ান আইপি’এর প্রেসিডেন্ট ডাঃ জাবের খান রাইয়ানের নেতৃত্বে সংগঠনটি ক্রমেই হয়ে উঠছে শক্তিশালী।
চিকিৎসক ছাড়াও এই সংগঠনে নির্বাহী পরিচালক সহ রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। যারা সার্বক্ষণিক সমন্বয় সাধন করে চলেছে চিকিৎসক, রোগী ও হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাথে।প্রেসিডেন্ট ডাঃ জাবের খান রাইয়ান ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ শেখ হাসানের গতিশীল নেতৃত্ব, অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতা আইপিএকে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে দাঁড় করিয়েছে সামনের কাতারে। বছরের বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নানাবিধ অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করে থাকে।
সাউথ এশিয়ান আইপি’এর বার্ষিক প্রোভাইডার কনফারেন্স ও মাধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ মে, রোববার দুপুরে। লং আইল্যান্ডের গার্ডেন সিটিস্থ মিন্ট রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সাউথ এশিয়ান আইপিএ’র সদস্য, কর্মকর্তা, অতিথি ও হেলথ ফার্স্ট এবং ফিডেলিস ইন্সুরেন্সের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ডাঃ জাবের খান রাইয়ান অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ডাঃ জাবের খান অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান। নিউইয়র্ক স্টেট হেলথ পালসি, মেডিকেল কোডিং, রিস্ক এডজাস্টমেন্ট সহ স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা করেন ডাঃ জাবের খান। তিনি সাউথ এশিয়ান আইপিএ’র প্রতিষ্ঠা, এর কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সংগঠনটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার বর্ণনা দেন।
পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে ডাঃ জাবের খান সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অঢেল অর্থের অপচয় এবং অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ঔষধের ব্যবহারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অর্থ অপচয় বন্ধ করে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে আইপিএ। অনুষ্ঠানে মার্কেটিং এবং এডভারটাইজিংয়ের উপর আলোচনা করেন হেলথ ইন্সুরেন্স ভিএনএস’র ভাইস প্রেসিডেন্ট জন বার্গ। হেলথ ইন্সুরেন্স কর্মকর্তাগণ সাউথ এশিয়ান আইপিএ’র কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আইপিএ’র সদস্যভূক্ত চিকিৎসকদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। কুইন্স কাউন্টির সেরা চিকিৎসক হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন ডাঃ নাজমূল খান। ২০২৩ সালে উন্নত স্বাস্থ্য সেবার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয় ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসেনকে। সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীকে সেবা দানের জন্য ডাঃ হুসাম আমিনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ডাঃ রুমানা সবুর পেয়েছেন ব্রঙ্কসের সেরা চিকিৎসকের সম্মাননা। সেরা কোডিং ও রিস্ক স্কোর সম্মাননা পেয়েছেন ডাঃ শাহেদ হোসনাইন।
২০২৩ এর বেস্ট ইমপ্রুভ সম্মাননা পেয়েছেন ডাঃ বাবুল বসাক। ব্রুকলীনের সেরা চিকিৎসকের সম্মাননা পেয়েছেন আকাশ ফেরদৌস এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের সেরা চিকিৎসকের জন্য সম্মানিত করা হয় ডাঃ এলসাঈদ হোসেইনকে।
সাউথ এশিয়ান আইপিএ টিমের কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ শেখ হাসান। হেলথ ফার্স্ট, ফিডেলিস কেয়ার, ওয়েল কেয়ার, ব্লূ-ক্রশ, ব্লু-শিল্ড, মলিনা, এমবলেম হেলথ, এল্ডার প্ল্যান এবং ভিএনএইচ এর মতো বড় বড় হেলথ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে মিলিতভাবে ব্যতিক্রমী সেবা প্রদানের মাধ্যমে সফল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে সংগঠনটি।
ভিন্ন ভাষাভাষী ও জাতি গোষ্ঠির ভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণকারী পেশাজীবী এই সংগঠন রোগীদের মাঝেও সংযোজন করেছে বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের জন্য চিকিৎসকদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ শেখ হাসান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন।
Posted ১:৪৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh